Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (মুক্তারপুর সেতু) এবং ইদ্রাকপুর কেল্লা
বিস্তারিত

ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুঃ

ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু মুন্সিগঞ্জ জেলার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ন সেতু। এটি ৬ষ্ঠ মুক্তারপুর সেতু নামেও পরিচিত। মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় চার কিমি দূরে মুক্তারপুর নামক স্থানে ধলেশ্বরী নদীর উপর দিয়ে  নির্মিত এ ব্রীজটি ঢাকা, নারায়নগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জ এর যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ন মাইলফলক। ব্রিজটির দৈঘ্য ১৫১ মিটার এবং প্রস্থ ১০ মিটার। সেতুটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ২০৮.৩৫ কোটিটাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ৭৯.১৫ কোটি টাকা। সেতুটির নির্মান কাজ শেষ হয় জানুয়ারী ২০০৮ সালে।সেতুটিতে মোট স্প্যান রয়েছে ৩৭টি এবং পাইল রয়েছে ১২৬ টি। বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটি এবং চায়না রোড় এন্ড ব্রীজ করপোরেশন এর  যৌথ উদ্যোগে ব্রীজটি নির্মিত হয়।

 

ইদ্রাকপুর কেল্লা মুন্সীগঞ্জঃ

বিক্রমপুরের কালের সাক্ষী অনেক ইমারতের মধ্যে একটি হলো ইদ্রাকপুর কেল্লা। মুঘল শাসনামলে বিখ্যাত বারো ভূঁইয়ারা বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাধীনভাবে দেশ শাসন করতেন। বারোভূঁইয়াদের অন্যতম ছিলেনবিক্রমপুরের চাঁদরায়, কেদার রায়। চাঁদ রায়-কেদাররায়দের শায়েস্তা করারলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর নামক স্থানে মুঘলফৌজদার একটি কেল্লানির্মাণ করেন। ধলেশ্বরী-ইছামতির সংগমস্থলে চাঁদরায় ১৬১১খ্রি. ডাকচেরা ওযাত্রাপুর দুর্গ হারিয়ে পরাজিত হন। ফলে সমগ্র বিক্রমপুরমুঘলদের শাসনে চলেআসে। বিশাল বিক্রমপুরে মুঘলদের করতলে রাখতে এবং বিদেশিসৈন্যদের হাত থেকেসুবে-বাংলার রাজধানী ঢাকাকে রক্ষার জন্য মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর নামক স্থানে মুঘল সুবেদার মীর জুলমা ১৬৬০ খ্রি. একটি দুর্গ বাকেল্লা নির্মাণ করেন। কেল্লাটি লালবাগের চেয়ে ছোট হলেও গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি। ১৬৬০ সালে ইদ্রাকপুর এলাকাটি ইছামতি-ধলেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা ওশীতলক্ষ্যার সংগমস্থল ছিল। মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র, ইছামতি ও ধলেশ্বরীর গতি পরিবর্তনের ফলে এখন মুন্সীগঞ্জ শহরের কেন্দ্রস্থল মাকহাটী-কাচারী সড়কের পশ্চিম পাশে কোর্টগাঁও এলাকায় অবস্থিত। চতুর্দিকে প্রাচীর দ্বারা আবৃতদুর্গের মাঝে মূল দুর্গ ড্রামের মধ্যে। দুর্গের প্রাচীর শাপলা পাপড়ির মতো। প্রতিটি পাপড়িতে ছিদ্র রয়েছে। ছিদ্র দিয়ে কাঁসার ব্যবহার করা হতো। দুর্গের উত্তর দিকে বিশালাকার প্রবেশদ্বার রয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে মূলদুর্গের চূড়ায় উঠা যায়। মূল ভূমি হতে ২০ ফুট উঁচু। দেয়ালের বর্তমান উচ্চতা প্রায় ৪/৫ ফুট। প্রাচীরের দেয়াল ২-৩ ফুট পুরো। দুর্গে প্রবেশদ্বারের উত্তরপাশে একটি গুপ্ত পথ রয়েছে। কথিত আছে, এ গুপ্ত পথ দিয়ে লালবাগ কেল্লায় যাওয়া যেত।তবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে গুপ্ত পথ দিয়ে লালবাগ কেল্লায় নয়, অন্য কোথাও পালানো যেত। ২১০ দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুট আয়তনের এ দুর্গখানি এখনো অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ইদ্রাকপুর কেল্লা খুব সম্ভবত ১৬৫৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়এবং ১৬৬০ সালে তা শেষ হয়। কেল্লাটি দুই ভাবে বিভক্ত। পশ্চিমাংশ ও পূর্বাংশ। ড্রামের মধ্যখান বরাবর একটি ৫ ফুট উচ্চতার দেয়াল রয়েছে। প্রাচীরের উত্তরপাশে কামান বসানোর তিনটি মঞ্চ। দক্ষিণ পাশেও তিনটি থাকার কথা কিন্তু সেখানে রয়েছে ২টি। দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের মঞ্চটি হয়তো ভেঙেগেছে। দুর্গে প্রবেশের মূল পথটি উত্তর পাশে। এই দুর্গটি হতে আবদুল্লাপুরে মঙ্গত রায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রেরীত হয়েছিল। মীর জুমলার সেনাপতি সদলি খান ওমগ রাজা মঙ্গত রায় উভয়েই মারা যান। মঙ্গত রায় শাহ সুজার সেনাপতি ছিলেন বলে অনেকে ধারণা করেন। ইদ্রাকপুর কেল্লায় আবুল হোসেন নামে একটি সেনাধ্যক্ষ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকতেন। আবুল হোসেন ছিলেন নৌ বাহিনীর প্রধান। তার নিয়ন্ত্রণে ২০০ নৌযান পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতির তীরে প্রস্তুত থাকত। যে সব নৌযান ইদ্রাকপুর কেল্লার নিয়ন্ত্রণে থাকত তা হলো কোষা, জলবা, গুরব, পারিন্দা, বজরা, তাহেলা, সলব, অলিল, খাটগিরি ও মালগিরি। ইদ্রাকপুর কেল্লার নিয়ন্ত্রণে যে সব পদাতিক বাহিনী ছিল তার প্রধান ছিলেন সদলি খান। এক সময় ইদ্রাকপুর দুর্গে মহকুমা প্রশাসনের বাস ভবন (১৮৪৫-১৯৮৪) ছিল। ১৯৮৪-৮৯ পর্যন্ত জেলা প্রশাসকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাসভবন ছিল।পরবর্তীতে এটা সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগরে আওতাভুক্ত হয়। ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু মুন্সিগঞ্জ জেলার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ন সেতু। এটি ৬ষ্ঠ মুক্তারপুর সেতু নামেও পরিচিত। মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় চার কিমি দূরে মুক্তারপুর নামক স্থানে ধলেশ্বরী নদীর উপর দিয়ে  নির্মিত এ ব্রীজটি ঢাকা, নারায়নগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জ এর যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ন মাইলফলক। ব্রিজটির দৈঘ্য ১৫১ মিটার এবং প্রস্থ ১০ মিটার। সেতুটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ২০৮.৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ৭৯.১৫ কোটি টাকা। সেতুটির নির্মান কাজ শেষ হয় জানুয়ারী ২০০৮ সালে। সেতুটিতে মোট স্প্যান রয়েছে ৩৭টি এবং পাইল রয়েছে ১২৬ টি। বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটি এবং চায়না রোড় এন্ড ব্রীজ করপোরেশন এর  যৌথ উদ্যোগে ব্রীজটি নির্মিত হয়। মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরের কালের সাক্ষী অনেক ইমারতের মধ্যেএকটি হলো ইদ্রাকপুর কেল্লা। মুঘল শাসনামলে বিখ্যাত বারো ভূঁইয়ারা বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাধীনভাবে দেশ শাসন করতেন। বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ছিলেন বিক্রমপুরের চাঁদরায়, কেদার রায়। চাঁদ রায়-কেদার রায়দের শায়েস্তা করার লক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর নামক স্থানে মুঘল ফৌজদার একটি কেল্লা নির্মাণ করেন। ধলেশ্বরী-ইছামতির সংগমস্থলে চাঁদরায় ১৬১১খ্রি. ডাকচেরা ও যাত্রাপুর দুর্গ হারিয়ে পরাজিত হন। ফলে সমগ্র বিক্রমপুর মুঘলদের শাসনে চলে আসে। বিশাল বিক্রমপুরে মুঘলদের করতলে রাখতে এবং বিদেশি সৈন্যদের হাত থেকে সুবে-বাংলার রাজধানী ঢাকাকে রক্ষার জন্য মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর নামক স্থানে মুঘল সুবেদার মীর জুলমা ১৬৬০ খ্রি. একটি দুর্গ বাকেল্লা নির্মাণ করেন। কেল্লাটি লালবাগের চেয়ে ছোট হলেও গুরুত্ব ছিল অনেকবেশি। ১৬৬০ সালে ইদ্রাকপুর এলাকাটি ইছামতি-ধলেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা ওশীতলক্ষ্যার সংগমস্থল ছিল। মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র, ইছামতি ও ধলেশ্বরীর গতি পরিবর্তনের ফলে এখন মুন্সীগঞ্জ শহরের কেন্দ্রস্থল মাকহাটী-কাচারী সড়কেরপশ্চিম পাশে কোর্টগাঁও এলাকায় অবস্থিত। চতুর্দিকে প্রাচীর দ্বারা আবৃত দুর্গের মাঝে মূল দুর্গ ড্রামের মধ্যে। দুর্গের প্রাচীর শাপলা পাপড়ির মতো।প্রতিটি পাপড়িতে ছিদ্র রয়েছে। ছিদ্র দিয়ে কাঁসার ব্যবহার করাহতো। দুর্গের উত্তর দিকে বিশালাকার প্রবেশদ্বার রয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে মূল দুর্গের চূড়ায় উঠা যায়। মূল ভূমি হতে ২০ ফুট উঁচু। দেয়ালের বর্তমান উচ্চতা প্রায়৪/৫ ফুট। প্রাচীরের দেয়াল ২-৩ ফুট পুরো। দুর্গে প্রবেশ দ্বারের উত্তর পাশে একটি গুপ্ত পথ রয়েছে। কথিত আছে, এ গুপ্ত পথ দিয়ে লালবাগ কেল্লায় যাওয়া যেত। তবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে গুপ্ত পথ দিয়ে লালবাগ কেল্লায় নয়, অন্য কোথাও পালানো যেত। ২১০ দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুট আয়তনের এ দুর্গ খানি এখনো অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ইদ্রাকপুর কেল্লা খুব সম্ভবত ১৬৫৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ১৬৬০ সালে তা শেষ হয়। কেল্লাটি দুই ভাবে বিভক্ত। পশ্চিমাংশ ও পূর্বাংশ। ড্রামের মধ্যখান বরাবর একটি ৫ ফুট উচ্চতার দেয়াল রয়েছে। প্রাচীরের উত্তরপাশে কামান বসানোর তিনটি মঞ্চ। দক্ষিণ পাশেও তিনটি থাকার কথা কিন্তু সেখানে রয়েছে ২টি। দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের মঞ্চটি হয়তো ভেঙে গেছে। দুর্গে প্রবেশের মূল পথটি উত্তর পাশে। এই দুর্গটি হতে আবদুল্লাপুরে মঙ্গত রায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রেরীত হয়েছিল। মীর জুমলার সেনাপতি সদলি খান ওমগ রাজা মঙ্গত রায় উভয়েই মারা যান। মঙ্গত রায় শাহ সুজার সেনাপতি ছিলেন বলে অনেকে ধারণা করেন। ইদ্রাকপুর কেল্লায় আবুল হোসেন নামে একটি সেনাধ্যক্ষ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকতেন। আবুল হোসেন ছিলেন নৌ বাহিনীর প্রধান। তার নিয়ন্ত্রণে ২০০ নৌযান পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতির তীরে প্রস্তুত থাকত। যে সব নৌযান ইদ্রাকপুর কেল্লার নিয়ন্ত্রণে থাকত তা হলোকোষা, জলবা, গুরব, পারিন্দা, বজরা, তাহেলা, সলব, অলিল, খাটগিরি ওমাল গিরি। ইদ্রাকপুর কেল্লার নিয়ন্ত্রণে যে সব পদাতিক বাহিনী ছিল তার প্রধান ছিলেন সদলি খান। এক সময় ইদ্রাকপুর দুর্গে মহকুমা প্রশাসনের বাস ভবন (১৮৪৫-১৯৮৪)ছিল। ১৯৮৪-৮৯ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাসভবন ছিল।পরবর্তীতে এটা সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগরে আওতা ভুক্ত হয়।