Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে মুন্সীগঞ্জ

 

জেলা প্রতিষ্টার তারিখ

১ মার্চ ১৯৮৪ সাল

জেলার মোট আয়তন

৯৫৪.৯৬ বর্গ কিঃ মিঃ

জেলার জনসংখ্যা

১৪,৪৫,৬৬০ জন

পুরুষ

৭,২১,৭৫২ জন

মহিলা

৭,২৪,১০৮ জন

শিক্ষার হার

৫৬.১%

মোট উপজেলা

৬টি

পৌরসভার সংখ্যা

২টি

ইউনিয়ন সংখ্যা

৬৮টি

ওয়ার্ড/গ্রাম সরকার

৬০৩টি

প্রাথমিক বিদ্যালয়

সরকারী ৫০৪টি, বেসরকারী রেজিঃকৃত ৩৪টি =মোট ৬১০ টি

মাধ্যমিক বিদ্যালযের সংখ্যা

সরকারী ৩টি, বেসরকারী ৮৫টি, বেসরকারী জুনিয়র ১১টি =মোট ৯৯টি

মাদ্রাসা

দাখিল ২২টি, আলিম ৫টি, ফাজিল ১টি, কামিল ১টি =মোট ২৯টি

কলেজ

সরকারী ৪টি, বেসরকারী ৯টি =মোট ১৩টি

মোট গ্রামের সংখ্যা

৯৭০টি

মৌজার সংখ্যা

৬৭১টি

আদর্শ গ্রাম

৮টি

কমিউনিটি সেন্টার

৪টি

জেলা হাসপাতাল

১টি

উপজেলা হাসপাতাল

৬টি

উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র

২৪টি

মসজিদ

৮৫০টি

মন্দির

১০৮টি

গীর্জা

১টি

হিমাগার

৬১টি

বিদ্যুৎ বিতরণ উপকেন্দ্র

৪টি

ফায়ার সার্ভিস

২টি

খাদ্য গুদাম

৭টি

প্রেসক্লাব

১টি

শিল্পকলা একাডেমী

১টি

সাংস্কৃতিক সংগঠন

৩৩টি

লাইব্রেরী

২টি

শিশু পার্ক

১টি

স্টেডিয়াম

২টি

সিনেমা হল

১৩টি

ডাক বাংলো

৭টি

গাভীর খামার

৫০৯টি

ছাগলের খামার

৪৯টি

ভেড়ার খামার

৬৩টি

মুরগীর খামার

৩২৯টি

রাস্তার সংখ্যা

৫৬৪টি

মহাসড়কের সংখ্যা

২টি

রাস্তার দৈর্ঘ্য

১৪৬০ কিঃ মিঃ

ব্রীজের সংখ্যা

৬৬৫টি

প্রধান সেতু

৩টি

ফেরী ঘাট

৩টি

সূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-২০১১

 

 

নামকরণঃ

আজকের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাচীন বাংলার গৌরবময় স্থান বিক্রমপুরের অংশ। মুন্সীগঞ্জ সে সময়ে একটি গ্রাম ছিল ইদ্রাকপুর। কথিত আছে, মোঘল শাসন আমলে এই ইদ্রাকপুর গ্রামে মুন্সী হায়দার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মোঘল শাসকদের দ্বারা ফৌজদার নিযুক্ত হয়েছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন ও জনহিতৈষী মুন্সী হায়দার হোসেনের  নাম অনুসারে ইদ্রাকপুরের নাম হয় মুন্সীগঞ্জ। ১৯৪৫ সালে বৃটিশ ভারতের প্রশাসনিক সুবিধার্থে মুন্সীগঞ্জ থানা ও মহকুমা হিসেবে উন্নীত হয়। ১৯৮৪ সালে ১ মার্চ মুন্সীগঞ্জ জেলায় রুপান্তরিত হয়।

ভূমির আকৃতিঃ

মুন্সীগঞ্জ সমতল এলাকা নয়। জেলার কিছু কিছু অঞ্চল যথেষ্ট উঁচু যদিও জেলায় কোনো পাহাড় নেই। মুন্সীগঞ্জের বেশির ভাগ এলাকা নিম্নভূমি বলে বর্ষায় পানিতে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।

অবস্থানঃ

মুন্সীগঞ্জ জেলাটি ২৩:২৯ থেকে ২৩:৪৫ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০:১০ থেকে ৯০:৪৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবিস্থিত।

জলবায়ুঃ

মুন্সীগঞ্জের জলবায়ু সমভাবাপন্ন আর্দ্রতাযুক্ত। এখানকার জলবায়ু ঋতু বিশেষে পরিবর্তশীল। মুন্সীগঞ্জ বর্ষাপ্রধান স্থান। গ্রীস্মকালে এলাকার অনেক স্থান পানি শূন্য হয়ে পড়ে। ঝড়বৃষ্টির প্রকোপও এই এলাকায় যথেষ্ট। শীতকালে শীতের তীব্রতা দেশের অন্যান্য স্থানের মতো তত প্রবল নয়। এলাকাটি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলভূক্ত।


সীমানাঃ

পূর্বে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি ও হোমনা উপজেলা, চাদঁপুর জেলার মতলব উপজেলা যা মুন্সীগঞ্জের সাথে প্রবাহিত মেঘনা নদীর দ্বারা বিভাজিত। পশ্চিমে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর জেলাকে পদ্মা নদী বিভাজিত করেছে। উত্তরে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও দোহার উপজেলা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা। দক্ষিণে পদ্মা নদী যার অপর পার্শ্বে শরিয়তপুর জেলা।

উপজেলার আয়তন

গজারিয়া উপজেলার আয়তন

১৩০.৯২ বর্গ কিলোমিটার

লৌহজং উপজেলার আয়তন

১৩০.১২ বর্গ কিলোমিটার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আয়তন

১৬০.৭৯ বর্গ কিলোমিটার

সিরাজদিখান উপজেলার আয়তন

১৮০.১৯ বর্গ কিলোমিটার

শ্রীনগর উপজেলার আয়তন

২০২.৯৮ বর্গ কিলোমিটার

টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আয়তন

১৪৯.৯৬ বর্গ কিলোমিটার


নদ-নদী:

মুন্সীগঞ্জ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদী: পদ্মা, মেঘনা, ছোট ব্রহ্মপুত্র, ধলেশ্বরী, ইছামতি, ইত্যাদি।

ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান:
ইদ্রাকপুর কেল্লা, বাবা আদম শাহ-র মসজিদ, পন্ডিত অতীশ দীপস্করের ভিটা, হাঁসাড়া দরগা, রামপালের দিঘি, রাজা বল্লাল সেনের ভিটা, হরিশচন্দের দিঘী, রাজা শ্রীনাথের বাড়ি, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ি, কোদাল ধোয়ার দিঘি, মাওয়া ফেরীঘাট, ইত্যাদি।

শষ্য
ধান (আমন, আউশ, বোরো), পাট,গম, ডাল,পেঁয়াজ, রসুন, শাকসবজি, আখ, তামাক, সুপারী, চীনাবাদাম, কাউন, আলু, মিষ্টি আলু ইত্যাদি। মুন্সীগঞ্জ দেশের অন্যতম প্রধান আলু উৎপাদনকারী জেলা।

ফল:
আম,কলা,খেঁজুর, তাল ,নারিকেল, কামরাঙ্গা, বেল, পেপে, জাম, বড়ই, জাম্বুরা,ডালিম, কাঁঠাল, ইত্যাদি।

বৃক্ষরাজি:
মান্দার, পলাশ, শিমুল, শিলকড়ই, কদম, পিটরাজ, জারুল, ভাদি,বট, আকাশমনি, কৃষ্ণচূড়া, অশ্বত্থ, ইপিল, ইপিল, দেবদারু, ছাতিম, রেইনট্রি, অর্জুন, তেতুল, সজনে, বকুল ইত্যাদি।

ফুল:
শাপলা, পদ্ম, কলমি, হেলেঞ্চা, (জলজ ফুল) গোলাপ, জবা, গাদা, ইত্যাদি।

পাখি:
বক, মাছরাঙ্গা, কাঠঠোকরা, কালিপেঁচা, ফিঙে , ভাত শালিক, চড়ই, হলদে পাখি, লক্ষ্মীপেঁচা, তিলা ঘুঘু, ডাহুক, টিয়া, দোয়েল, বাবুই, কাক, কোকিল, গাংচিল, ইত্যাদি।

মাছ:
রুই,কাতলা,মৃগেল, কালবাউশ, কই, শিং, মাগুর, সরপুটি, পাবদা, পাঙ্গাস, চিতল, বাচা, ইলিশ, বেলে তেলাপিয়া, সিলাভারকার্প, গ্রাস-কার্প, ইত্যাদি।

বৃষ্টিপাতঃ বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২০,০৮৮ মিলিমিটার

আর্দ্রতা: জানুয়ারিতে ৭৩%, জুলাইতে ৮৩%

সূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-২০১১