Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

জেলা ব্রান্ডিং

Details

জেলা ব্রান্ডিং ট্যাগলাইনের ব্যাখ্যা:

পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী, ইছামতি নদীর দ্বীপ জেলা মুন্সীগঞ্জ। আজকের মুন্সীগঞ্জ কিংবদন্তী ইতিহাসের মহান এবং গর্বিত ভূ-ভাগ। এই ভূ-ভাগ সুপ্রাচীন চন্দ্র রাজাদের তাম্র শাসনের অঞ্জলী থেকে শুরু করে পাল, সেন, মোঘল, বার ভূইঁয়াদের কৃতিত্বে উজ্জ্বল হয় একটি স্বাধীন বঙ্গ রাজ্যের রাজধানী বিক্রমপুরের কীর্তিময় অংশ। মুন্সীগঞ্জ তাই বাংলাদেশের জন্য গৌরবের ইতিহাস। আর এই ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে আছে ইদ্রাকপুর কেল্লা, নাটেশ্বর দেউল ও অতীশ দীপংকরের জন্মভূমি। প্রত্মতাত্বিক সম্পদের মাধ্যমে এই জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সর্বসম্মুখে উন্মোচন করেছে সম্ভাবনাময় এক প্রত্ননগরী মুন্সীগঞ্জকে। আর এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ মুন্সীগঞ্জ এর জেলা ব্রান্ডিং নির্বাচনের পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

 

ব্রান্ডিং- এর বিষয় নির্বাচন ও লোগো বর্ণনা:

মুন্সীগঞ্জ জেলাটি প্রাচীন একটি জেলা যা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ। এ জেলায় রয়েছে প্রাচীন ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত নানা ঐতিহাসিক স্থাপনা ও নিদর্শন। আর এ কারণেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এ জেলার ব্রান্ডিং বিষয়বস্তু হিসেবে নির্ধারিত হয় ‘প্রত্ননগরী মুন্সীগঞ্জ’। তাই ব্রান্ডিং লোগো নির্ধারণের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলোকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

 

লোগোর ঠিক মাঝখানে ব্যবহার করা হয়েছে মুন্সীগঞ্জ এর ইংরেজী বানানের প্রথম অক্ষর ‘এম’। এই প্রতীকটি কেবল মুন্সীগঞ্জের নামটিকেই ফুটিয়ে তুলেছে তা নয়। এর আকার এমনভাবে রাখা হয়েছে যা মুন্সীগঞ্জের তিনটি প্রধান নদী পদ্মা, মেঘনা ও ধলেশ্বরীর প্রবাহমানতাকে ফুটিয়ে তুলেছে। অক্ষরটির ঠিক পিছনে রয়েছে ‘রঘুরামপুর বৌদ্ধবিহার’ এর একটি স্কেচ যা প্রত্ননগরী হিসেবে মুন্সীগঞ্জের যথার্থতা প্রমাণ করেছে। এ জেলায় বর্তমানে খনন হচ্ছে প্রাচীন সময়ের বেশ কয়েকটি নিদর্শন যার প্রতিনিধি হয়ে এই স্কেচটি লোগোর ঠিক মাঝখানে অবস্থান করছে।

 

মুন্সীগঞ্জের আইকনিক প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মাঝে প্রধানতম স্থাপনা হলো মুসলিম শাসন আমলের ‘ইদ্রাকপুর কেল্লা’। এ জেলার মানুষ এই স্থাপনাটিকে বুকে ধারণ করার পাশাপাশি তাদের সভ্যতার পরিচায়ক মনে করে। তাই লোগোর সবচেয়ে উপরে ব্যবহার করা হয়েছে বিখ্যাত ‘ইদ্রাকপুর কেল্লা’ এর উপরি অংশের একটি আকৃতি যা লোগোটিকে দিয়েছে অনন্য মাত্রা। আর সবকিছু মিলিয়ে লোগোটিতে পোড়া মাটির রঙ ব্যবহার করা হয়েছে যা মুন্সীগঞ্জের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ কে নির্দেশ করে।